hsc

অর্থনৈতিক রসায়ন (পঞ্চম অধ্যায়)

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন রসায়ন - দ্বিতীয় পত্র | - | NCTB BOOK
224
224

প্রশ্ন-১. কয়লা প্রধানত কত প্রকার ও কি কি?

 

উত্তর : কয়লা প্রধানত চার প্রকার। যথা– ১. পিট কয়লা; ২. লিগনাইট কয়লা; ৩. বিটুমিনাস কয়লা; ৪. এনথ্রাসাইট কয়লা।

প্রশ্ন-২. হাইড্রোফিলিক প্রান্ত কি?

 

উত্তর : সাবান বা ডিটারজেন্ট আয়নের যে প্রান্ত ঋণাত্বক চার্জযুক্ত এবং পানি কর্তৃক আকর্ষিত হয় তাকে হাইড্রোফিলিক প্রান্ত বলে।

প্রশ্ন-৩. এনথ্রাসাইড কি?

 

উত্তর : এনথ্রাসাইড একটি উন্নতমানের কয়লা।

প্রশ্ন-৪. ইউরিয়া কাকে বলে?

 

উত্তর : নাইট্রোজেন ঘটিত সারকে ইউরিয়া বলে।

প্রশ্ন-৫. ইউরিয়ার সংকেত কি?

 

উত্তর : ইউরিয়ার সংকেত হলো– CO(NH2)2।

প্রশ্ন-৬. ইউরিয়ার IUPAC নাম কী?

 

উত্তর : ইউরিয়া (H2N – CO – NH2) এর IUPAC নাম ডাই অ্যামিনো মিথানোন।

প্রশ্ন-৭. লাইমের সংকেত লেখ।

 

উত্তর : লাইমের সংকেত হলো CaO।

প্রশ্ন-৮. কাচের ৩টি বৈশিষ্ট্য লিখ।

 

উত্তর : কাচের ৩টি বৈশিষ্ট্য হলো– ১. কাচ স্বচ্ছ, ২. কাচ বিদ্যুৎ অপরিবাহী ও ৩. কাচ তাপ কুপরিবাহী।

প্রশ্ন-৯. স্টিম ইঞ্জিনে কোন জ্বালানি ব্যবহৃত হয়?

 

উত্তর : স্টিম ইঞ্জিন চালাতে কয়লা ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-১০. ন্যানো লেয়ার কাকে বলে?

উত্তর : একমাত্রিক (One Dimension) বা রৈখিক বস্তুর কণার পরিসর 1-100nm হলে এদেরকে ন্যানো লেয়ার বলে।

প্রশ্ন-১১. নবায়নযোগ্য জ্বালানি কাকে বলে?

উত্তর : যে সকল জ্বালানির উৎস অফুরন্ত অথবা যে সকল জ্বালানিকে পুনঃউৎপাদন করা যায় তাদেরকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বলে।

প্রশ্ন-১২. BTU এর পূর্ণরূপ কি?

উত্তর : BTU এর পূর্ণরূপ হলো British Thermal Unit।

প্রশ্ন-১৩. ফেল্ডস্পার কাকে বলে?

উত্তর : অ্যালুমিনা, সিলিকা ও ক্ষারকীয় অক্সাইডের মিশ্রণে গঠিত পদার্থকে ফেল্ডস্পার বলে।

প্রশ্ন-১৪. সিমেন্ট কাকে বলে?

উত্তর : সিলিকা, অ্যালুমিনা, লাইম ও আয়রন অক্সাইড এর মিশ্রনকে উচ্চতাপে উত্তপ্ত করলে এক প্রকার চূর্ণাকার পদার্থ পাওয়া যায়, যা জলের উপস্থিতিতে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পাথরের মতো কঠিন পদার্থে পরিণত হয়। একে সিমেন্ট বলে।

প্রশ্ন-১৫. ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (BTU) কাকে বলে?

উত্তর : এক পাউন্ড পানির তাপমাত্রা এক ডিগ্রি ফারেনহাইট বাড়াতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন তাকে ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (BTU) বলে।

প্রশ্ন-১৬. ভালো মানের কয়লা কাকে বলে?

উত্তর : কয়লাতে ফিক্সড কার্বনের পরিমাণ ও এর ক্যালরিফিক মান বেশি হলে এবং সালফার, ছাই, জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম হলে তাকে ভালো মানের কয়লা বলে।

প্রশ্ন-১৭. কয়লার ক্যালরিফিক মানকে কী দ্বারা প্রকাশ করা হয়?

উত্তর : কয়লার ক্যালরিফিক মানকে BTU দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন-১৮. প্রাকৃতিক গ্যাস কি?

উত্তর : প্রাকৃতিক গ্যাস হলো এক ধরনের জৈব জ্বালানি যার প্রধান উপাদান মিথেন।

প্রশ্ন-১৯. প্রিজারভেটিভ কাকে বলে?

উত্তর : যেসব উপাদান খাদ্যের সাথে পরিমিত পরিমাণে মিশিয়ে খাদ্যকে বিভিন্ন অণুজীবসমূহের আক্রমণ ও বংশবিস্তার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাদের প্রিজারভেটিভস বা খাদ্য সংরক্ষক বলে।

প্রশ্ন-২০. প্রিটেনিং কি?

উত্তর : কাঁচা চামড়াকে টেনিং উপযোগী করতে যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তাকে প্রিটেনিং বলে।

 

 

প্রশ্ন-২১. কয়লার ক্যালরিফিযুক্ত মান বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : কয়লার ক্যালরিফিযুক্ত মান বলতে একক ভরের কয়লাকে দহনের ফলে উৎপন্ন তাপশক্তির পরিমানকে বোঝায়। যে কয়লার ক্যালরিফিক মান যত বেশি সে কয়লা তত বেশি উন্নত।

প্রশ্ন-২২. কয়লা ব্যবহারে প্রধান সমস্যা কী?

উত্তর : বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বয়লারে স্টীম উৎপাদনে কয়লাকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে প্রচুর পরিমাণে ছাই (ash) উৎপন্ন হয় যাতে CaO থাকে। নদীর পানিতে বর্জ্য হিসেবে পরিত্যক্ত উক্ত CaO পানির সাথে বিক্রিয়ায় Ca(OH)2 এ পরিণত হয়। বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে বা নদীর পানিতে মিশে যাওয়ায় এ ধরনের কয়লা বর্জ্য নদীর ক্ষারকত্ব বৃদ্ধিসহ নদীর ভারসাম্য নষ্ট করে।

প্রশ্ন-২৩. চামড়া পিকলিং করা হয় কেন?

উত্তর : চামড়ায় যুক্ত ক্যালসিয়াম লবণসমূহ দূর করে চামড়াকে ক্রোম ট্যানিং এর উপযোগী করার জন্য পিকলিং করা হয়। পিকলিং করার জন্য চামড়াকে H2SO4 দ্রবণ ও NaCl দ্রবণের মিশ্রণের মধ্যে ডুবিয়ে রাখা হয়। ফলে প্রোটিনের Ca2+ লবণ এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে CaSO4 রূপে অপসারিত হয় এবং প্রোটিনের মধ্যে লিঙ্কেজ সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন-২৪. যান্ত্রিক ড্রায়ারের সুবিধা কি কি?

উত্তর : যান্ত্রিক ড্রায়ারে খাদ্য শুকিয়ে যেসব সুবিধা পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে–

১. শুষ্কীকরণ প্রক্রিয়াটি আবহাওয়ার ওপর নির্ভরশীল নয়।

২. শুষ্কীকরণ প্রক্রিয়াকে যথেষ্ট মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করে।

৩. বহুসংখ্যক খাদ্যসামগ্রী শুষ্কীকরণ সম্ভব।

৪. দক্ষতা অনেক বেশি।

প্রশ্ন-২৫. পিট কয়লাকে নিম্নমানের বলার কারণ কি?

উত্তর : কয়লার মান নির্ধারিত হয় তাতে থাকা ফিক্সড কার্বন, সালফার, ছাই, উদ্বায়ী পদার্থ ও জলীয় বাষ্পের পরিমাণের উপর। কয়লাতে ফিক্সড কার্বনের পরিমাণ বেশি হলে এবং অন্যান্য মান সূচকের পরিমাণ কম হলে কয়লার মান ভালো হয়। পিট কয়লাতে ফিক্সড কার্বনের পরিমাণ কম ও অন্যান্য মান সূচকের পরিমাণ বেশি হওয়ায় একে নিম্নমানের কয়লা বলা হয়।

প্রশ্ন-২৬. টিনজাতকরণ কি?

উত্তর : তাপীয় প্রক্রিয়াজাতকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো টিনজাতকরণ। টিনজাতকরণ (Canning) হচ্ছে খাদ্য সংরক্ষণের এমন একটি পদ্ধতি যেখানে সম্পূর্ণভাবে বায়ুরোধী করে সিল করা ধাতব পাত্রের মধ্যস্থিত খাদ্য উচ্চ তাপ প্রয়োগ করা হয়। যেকোনো ধরনের পচন বা নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে খাদ্যকে রক্ষা করার জন্য এমন করা হয়। খাদ্য যদি সঠিকভাবে টিনজাতকরণ করা হয় তবে পাত্রের ঢাকনা না খুললে খাদ্য অনেকদিন পর্যন্ত খাওয়ার উপযোগী থাকবে। এমনকি দুই তিন বছর পর্যন্তও থাকতে পারে।

 

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

চামড়া শিল্পে
সিমেন্ট শিল্পে
কাঁচ শিল্পে
কাগজ শিল্পে

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র

119
119

র্তমানে বাংলাদেশে ২৯টি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র রয়েছে। প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছিলো ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে এবং সর্বশেষ গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছিলো ২০১৭ সালে ভোলা, বাংলাদেশে। সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র হলো তিতাস গ্যাসক্ষেত্র।

 

Content added By

প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান ও ব্যবহার

137
137

উপাদান

প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল উপাদান মিথেন হলেও এর সাথে অল্প পরিমাণ অন্যান্য প্যারাফিন হাইড্রোকার্বন যেমন ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন, পেন্টেন, হেক্সেন ইত্যাদি থাকে। এছাড়া আরও থাকে নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড ও হাইড্রোজেন সালফাইড।

প্রাকৃতিক গ্যাসের অনুপাত:-

(a.) মিথেন- ৯৭.৩৩%

(b.) ইথেন- ১.৭২%

(c.) প্রোপেন - ০.৩৫%

(d.) ঊচ্চতর কার্বনের শিকল যুক্ত অংশ- ০.১৯%

(e.) কার্বন ডাই অক্সাইড- ০.০৫%

(f.) অক্সিজেন- ০.০২%

(g.) হাইড্রোজেন- ০.০৩%

(h.) হাইড্রোজেন সালফাইড- ০.০১%

(i.) অন্যান্য- ০.৩%

মোট - ১০০%

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

বাংলাদেশের কয়লা ক্ষেত্র

130
130

বাংলাদেশের কয়লা ক্ষেত্র

বাংলাদেশে কয়লা খনির খাত গুরুত্বপূর্ণ একটি শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের কয়লা উৎপাদন এবং খনন কার্যক্রম দেশের শক্তির চাহিদা মেটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে কয়লা দেশের প্রধান শক্তি উৎসগুলির মধ্যে অন্যতম এবং এর ব্যবহার বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

কয়লা খনি এবং প্রকার

বাংলাদেশে প্রধানত কয়লার খনি রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে। খনির প্রধান প্রকার হলো:

  1. বাকারা কোলা ক্ষেত্র (Barapukuria Coal Field)
    এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কয়লা ক্ষেত্র। রংপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলায় অবস্থিত এই খনি থেকে দেশীয় কয়লার চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করা হয়।
  2. দাউদকান্দি ও মহেশখালি
    দাউদকান্দি এবং মহেশখালির এলাকায় আরও কিছু কয়লা ক্ষেত্র রয়েছে, যা মূলত দেশের অভ্যন্তরীণ শক্তির চাহিদা পূরণে ব্যবহৃত হয়।
  3. পাবনা কয়লা ক্ষেত্র
    পাবনা অঞ্চলে কয়লার খনন কার্যক্রম অনেকটা সীমিত হলেও কিছু ছোট খনি এখানে রয়েছে, যা স্থানীয় চাহিদা পূরণের কাজে লাগে।

কয়লা খননের প্রযুক্তি

বাংলাদেশে কয়লা খনন কার্যক্রম এখনও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রচলিত প্রথাগত পদ্ধতি অনুসরণ করে। তবে, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে খনন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে, যাতে আরো বেশি কয়লা উত্তোলন করা যায় এবং পরিবেশগত সমস্যা কমানো যায়। প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্যাসification এবং কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

কয়লার ব্যবহার

কয়লা বর্তমানে বাংলাদেশের শিল্পখাতে প্রধান শক্তি উৎস হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। তাছাড়া, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রেও কয়লার ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশেষত, কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী বেশ কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা দেশের শক্তি সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

পরিবেশগত প্রভাব

কয়লা খননের ফলে বাংলাদেশের পরিবেশে কিছু নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কয়লা খননের ফলে মাটি, পানি এবং বায়ুর দূষণ ঘটছে। এই কারণে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে দূষণ কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।


সারাংশ

বাংলাদেশের কয়লা ক্ষেত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি উৎস হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। কয়লা খনন, উৎপাদন এবং ব্যবহার বাড়ানোর জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ও খনন পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে, তবে পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। কয়লা খনি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং অন্যান্য শিল্পখাতে এর ব্যবহার বাংলাদেশের শক্তির চাহিদা পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

পিট কয়লা
বিটুমিনাস কয়লা
অ্যাস্ত্রাসাইট কয়লা
লিগনাইট কয়লা

বাংলাদেশের কয়লার মান ও ব্যবহার

103
103

বাংলাদেশের কয়লা ক্ষেত্র

বাংলাদেশের কয়লা ক্ষেত্র দেশের শক্তির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কয়লা বাংলাদেশের শক্তির উৎসের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য এবং তা বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্পের কাঁচামাল এবং অন্যান্য খাতে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে, দেশের কয়লা সম্পদের মূল উৎসগুলো দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল এবং সিলেট অঞ্চলে অবস্থিত।


বাংলাদেশের কয়লা ক্ষেত্রের প্রধান খনিগুলি

  1. বাগেরহাট জেলার কলাপাড়া খনি:
    • এটি বাংলাদেশের অন্যতম বড় কয়লা ক্ষেত্র। এই খনি থেকে উচ্চ মানের কয়লা উত্তোলন করা হয়, যা প্রধানত বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
  2. খুলনা জেলার গোপালগঞ্জ খনি:
    • এই খনিতে কোয়ালিটির কয়লা পাওয়া যায় যা স্থানীয় শিল্পকেন্দ্রগুলোতে ব্যবহৃত হয়।
  3. দোহাজারী খনি:
    • চট্টগ্রাম জেলার দোহাজারী এলাকায় কয়লার খনির উপস্থিতি রয়েছে, যা স্থানীয় শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  4. সিলেটের মাধবপুর:
    • সিলেটের মাধবপুর কয়লা ক্ষেত্রের গুরুত্ব অনেক, যেখানে প্রায় ১৫০০ মিটার গভীরতার খনি খনন করা হয়েছে।

কয়লা উত্তোলনের প্রভাব

বাংলাদেশের কয়লা খনির উত্তোলন পরিবেশ ও সমাজের উপর কিছু প্রতিকূল প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন:

  • প্রাকৃতিক পরিবেশে ক্ষতি: খনি উত্তোলন প্রক্রিয়ায় ভূগর্ভস্থ জলস্তর কমে যেতে পারে, যা কৃষি ও পানির উৎসের জন্য ক্ষতিকর।
  • কর্মসংস্থান: কয়লা খনি উত্তোলন কর্মসংস্থান তৈরি করে, তবে এতে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যাও হতে পারে খনি শ্রমিকদের জন্য।

সারাংশ

বাংলাদেশের কয়লা ক্ষেত্র দেশের শক্তি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, এই খাতের উন্নয়ন পরিবেশগত এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতাগুলোর সাথে সমন্বয় সাধন করে করতে হবে। কয়লা খনির উন্নয়ন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

Content added By

জ্বালানী সম্পদের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে শিল্পায়নের সম্ভাবনা

100
100

জ্বালানী সম্পদের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে শিল্পায়নের সম্ভাবনা

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং এর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শিল্পায়নের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। জ্বালানী সম্পদ দেশের শিল্পায়নের প্রক্রিয়াকে সমর্থন দেয় এবং এর মাধ্যমে শিল্পের গতি ত্বরান্বিত করা সম্ভব। বাংলাদেশে জ্বালানী সম্পদের সঠিক ব্যবহার এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্পায়নের সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

১. প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেলের ব্যবহার

বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুত রয়েছে, যা দেশের প্রধান জ্বালানী উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গ্যাসের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সিমেন্ট, সার, পাট, ইস্পাত, এবং অন্যান্য শিল্পে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের শিল্পগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে দেশের শিল্পায়নকে শক্তিশালী করবে।

  • বৈশিষ্ট্য:
    • প্রাকৃতিক গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প কারখানায় ব্যবহার করা হয়।
    • গ্যাসের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্থিতিশীল শিল্প পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব।
  • চ্যালেঞ্জ:
    • গ্যাসের মজুত সীমিত এবং এর উপর নির্ভরশীলতা দেশের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
    • দীর্ঘমেয়াদী গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব ও আরও গ্যাস অনুসন্ধানের প্রয়োজন।

২. নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার

বাংলাদেশে সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি এবং জলবিদ্যুৎ শক্তির ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব। বিশেষত, সৌর শক্তির সম্ভাবনা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অধিক এবং এটি দেশের শিল্পায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হতে পারে। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সৌর শক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে, যা জ্বালানী খরচ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

  • বৈশিষ্ট্য:
    • সৌর শক্তি এবং বায়ু শক্তির খরচ কম এবং তা পরিবেশবান্ধব।
    • দেশের জ্বালানী নির্ভরতা কমাতে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
  • চ্যালেঞ্জ:
    • নবায়নযোগ্য শক্তির পরিমাণ সীমিত এবং সেগুলি নির্ভরশীল পরিবেশগত পরিস্থিতির উপর।
    • উন্নত প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ ছাড়া এই শক্তির সঠিক ব্যবহার কঠিন হতে পারে।

৩. কয়লা ও অন্যান্য খনিজ সম্পদ

বাংলাদেশের কয়লা খনি সম্পদ রয়েছে, যা ভারী শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। কয়লার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন, ইস্পাত শিল্প এবং অন্যান্য ভারী শিল্পের জন্য জ্বালানী সরবরাহ করা যেতে পারে। তবে, কয়লার ব্যবহার পরিবেশগত সংকট সৃষ্টি করতে পারে, তাই এর বিকল্প শক্তির উৎস অনুসন্ধান অপরিহার্য।

  • বৈশিষ্ট্য:
    • কয়লা সস্তা এবং দেশের শিল্পায়নের জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানী সরবরাহ করতে সক্ষম।
    • এটি ভারী শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শক্তি উৎস হিসেবে কাজ করে।
  • চ্যালেঞ্জ:
    • কয়লার ব্যবহার পরিবেশ দূষণ এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বাড়ায়।
    • কয়লা উত্তোলন এবং এর পরিবহনকে আরও পরিবেশবান্ধব করতে প্রযুক্তি উন্নয়ন প্রয়োজন।

৪. বায়ু শক্তি ও জলবিদ্যুৎ

বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বায়ু শক্তির সম্ভাবনা রয়েছে, এবং দেশের পাহাড়ি অঞ্চলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। এই উৎসগুলো পরিবেশবান্ধব এবং দেশের জ্বালানী চাহিদা পূরণে সহায়ক হতে পারে।

  • বৈশিষ্ট্য:
    • বায়ু শক্তি এবং জলবিদ্যুৎ ব্যবহার করলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব।
    • সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে।
  • চ্যালেঞ্জ:
    • এই শক্তি উৎপাদন প্রযুক্তি এখনও উন্নয়নশীল পর্যায়ে এবং পর্যাপ্ত বিনিয়োগের প্রয়োজন।
    • নির্দিষ্ট জায়গায় স্থান সংকুলান সমস্যা হতে পারে।

সারাংশ

বাংলাদেশে জ্বালানী সম্পদের মাধ্যমে শিল্পায়নের সম্ভাবনা অনেক। প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, সৌর শক্তি, বায়ু শক্তি, এবং জলবিদ্যুৎ শক্তির সঠিক ব্যবহার শিল্পায়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে পারে। তবে, এসব সম্পদের ব্যবহার নিয়ে চ্যালেঞ্জ এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন যাতে সেগুলোর মাধ্যমে একটি টেকসই এবং শক্তিশালী শিল্প পরিবেশ গড়ে তোলা যায়।

Content added By

বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য রসায়ন শিল্প পরিচিতি

100
100

বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য রসায়ন শিল্প পরিচিতি

বাংলাদেশে রসায়ন শিল্পের উন্নতি দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রসায়ন শিল্পের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার উৎপাদন, যেমন কেমিক্যাল, ডাই-স্টাফ, ফার্মাসিউটিক্যালস, সার, এবং পেইন্টস রয়েছে, যা দেশের শিল্পখাতের বিকাশে সহায়ক। দেশে রসায়ন শিল্পের অবকাঠামো গড়ে ওঠার পর, এটি স্থানীয় উৎপাদন ছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।

সার শিল্প

বাংলাদেশের সার শিল্প অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রসায়ন শিল্প হিসাবে পরিচিত। দেশের কৃষির জন্য সার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং দেশের কৃষি উৎপাদনের উন্নতিতে এর অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের সার উৎপাদিত হয়, যেমন ইউরিয়া, ডিএপি, টিএসপি ইত্যাদি। এসব সার দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানি হয় বিভিন্ন দেশে।

ফার্মাসিউটিক্যালস শিল্প

বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যালস শিল্প উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করেছে এবং এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনকারী শিল্প হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলি যেমন Eskayef Pharmaceuticals, SQUARE Pharmaceuticals, Renata Limited প্রভৃতি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদন করছে। দেশীয় বাজারে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি, এসব প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক বাজারেও ওষুধ রপ্তানি করছে।

পেইন্ট এবং কোটিংস

বাংলাদেশের পেইন্ট এবং কোটিংস শিল্পও গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। দেশের কিছু উল্লেখযোগ্য পেইন্ট কোম্পানি যেমন Berger Paints Bangladesh Limited, RAK Paints এবং Asian Paints, তাদের উৎপাদিত পেইন্ট দেশীয় চাহিদা মেটানো ছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারেও রপ্তানি করে। এই শিল্পটি রিয়েল এস্টেট, গাড়ি এবং শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন কোটিং প্রোডাক্ট উৎপাদন করে থাকে।

প্লাস্টিক এবং পলিমার শিল্প

বাংলাদেশে প্লাস্টিক ও পলিমার শিল্প দ্রুত বেড়ে উঠছে। দেশীয় বাজারের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে প্লাস্টিক পণ্য, যা বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত হয়, যেমন প্যাকেজিং, কনস্ট্রাকশন, ইলেকট্রনিক্স, এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে। এই শিল্পে উৎপাদিত পণ্যগুলোর মধ্যে প্লাস্টিক বটল, প্যাকেট, ড্রাম, টিউব ইত্যাদি অন্যতম।

রং এবং কেমিক্যাল্স শিল্প

বাংলাদেশে রং এবং কেমিক্যাল্স শিল্পও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই শিল্পের মধ্যে তেল, ওয়াটার বেসড রং, শিল্প কেমিক্যালস ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন কোম্পানি এই শিল্পে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং তারা বিদেশে রপ্তানি করছে।

সারাংশ

বাংলাদেশের রসায়ন শিল্প বিভিন্ন খাতে বিস্তৃত এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সার, ফার্মাসিউটিক্যালস, পেইন্টস, প্লাস্টিক, কেমিক্যালস ইত্যাদি শিল্পগুলো দেশের উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

Content added By

ইউরিয়া উৎপাদনের মূলনীতি

158
158

কাঁচ উৎপাদনের মূলনীতি

138
138
Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সিরামিক উৎপাদনের মূলনীতি

107
107

পাল্প পেপার উৎপাদনের মূলনীতি

115
115

পাল্প পেপার উৎপাদনের মূলনীতি

পাল্প পেপার উৎপাদন একটি রাসায়নিক এবং মেকানিকাল প্রক্রিয়া, যেখানে কাঁচামাল হিসেবে সাধারণত গাছের তন্তু (যেমন কাঠ, বাঁশ, ইত্যাদি) ব্যবহার করা হয়। এই প্রক্রিয়া মূলত দুটি ধাপে বিভক্ত: পাল্প তৈরি এবং পেপার তৈরির জন্য সেই পাল্পকে প্রস্তুত করা।

পাল্প উৎপাদন

পাল্প উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কাঠ বা অন্য কোনো উদ্ভিদজাত উপাদানকে ছিঁড়ে বা চূর্ণ করে তার তন্তু বের করা হয়। এই পাল্প তৈরি করার জন্য প্রধানত দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়: মেকানিকাল পদ্ধতি এবং রসায়নিক পদ্ধতি

  1. মেকানিকাল পদ্ধতি:
    • এই পদ্ধতিতে কাঠের তন্তু থেকে পাল্প তৈরি করতে শারীরিক শক্তি ব্যবহার করা হয়। কাঠের গুঁড়া বা পাতলা টুকরোগুলিকে কষ্ট করে চূর্ণ করে তার তন্তু বের করা হয়।
    • এই প্রক্রিয়ায় উচ্চমাত্রায় শক্তি প্রযোজ্য হয় এবং খুব কম রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।
    • তবে, এর ফলে তন্তুর গুণগত মান কমে যায় এবং পেপারের গুণগত মানও নিচে চলে আসে।
  2. রসায়নিক পদ্ধতি:
    • এই পদ্ধতিতে কাঠ বা অন্যান্য উদ্ভিদজাত উপাদানকে রাসায়নিক দ্রবণে ভিজিয়ে তার তন্তু আলাদা করা হয়।
    • প্রধানত কেমিক্যাল পাল্পিং পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে ক্লোজি বা সালফেট পদ্ধতি অন্যতম।
    • এই পদ্ধতিতে অধিক শক্তি ব্যবহার না করলেও, প্রক্রিয়ায় চিনি এবং অন্যান্য অমেধ্য দূর করা হয় এবং পাল্পের গুণমান উন্নত হয়।

পাল্প থেকে পেপার প্রস্তুতি

পাল্প তৈরি হওয়ার পর, তা পেপারে পরিণত করতে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রধানত কয়েকটি ধাপ থাকে:

  1. পাল্প ধোয়া ও পরিষ্কার করা:
    • পাল্প থেকে অবশিষ্ট রাসায়নিক দ্রব্য ও অমেধ্য ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়।
  2. পাল্প মেশানো:
    • পাল্প মিশ্রিত করে নির্দিষ্ট অনুপাতে জল ও অন্যান্য উপাদান যোগ করা হয় যাতে পেপারের কাঠামো তৈরি করা যায়।
  3. পেপার তৈরি:
    • তারপর মিশ্রিত পাল্পকে একধরনের মেশিনে পাঠানো হয়, যা তাকে পাতলা স্তরে রূপান্তরিত করে। এই স্তরটি শুকিয়ে শক্ত অবস্থায় পরিণত হয়।
  4. শুকানোর প্রক্রিয়া:
    • পাল্পের পাতলা স্তরটি শুকানোর জন্য ব্যবহৃত হয় বিশেষ ধরণের রোলার বা শীট শুকানোর পদ্ধতি, যাতে এটি পেপারে রূপান্তরিত হতে পারে।
  5. প্রেসিং ও ফিনিশিং:
    • পেপার তৈরি হওয়ার পর তাকে প্রেস করা হয়, যাতে তার পুরুত্ব এবং গুণমান ঠিক থাকে। এরপর পেপারের উপর অন্যান্য ফিনিশিং প্রক্রিয়া যেমন মসৃণতা, রং প্রভৃতি প্রয়োগ করা হয়।

সারাংশ

পাল্প পেপার উৎপাদন একটি জটিল প্রক্রিয়া, যা কাঁচামাল থেকে পাল্প তৈরি করে, তারপর সেই পাল্পকে পেপারে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। এটি মেকানিকাল বা রসায়নিক পদ্ধতির মাধ্যমে করা হতে পারে, যার প্রতিটির নিজস্ব সুবিধা এবং চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

Content added By

সিমেন্ট উৎপাদনের মূলনীতি

130
130
Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

চামড়া টেনিং এর মূলনীতি

109
109

মূলনীতি : ক্ষারকীয় ক্রোমিয়াম সালফেট [Cr2(SO4)3] বা ক্রোমিক [H2Cr2O7] এসিডের দ্রবণে চামড়াকে ভিজিয়ে রাখলে চামড়ার মধ্যস্থিত কোলাজেন প্রোটিনের দুটি গ্রূপ অ্যামিন গ্রূপ(-NH2) ও কার্বক্সিলিক গ্রূপ (-COOH) Cr- এর সাথে যুক্ত হয়ে কোলাজেন ক্রোমিয়াম জটিল যৌগ উৎপন্ন করে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সিমেন্ট শিল্পের দূষকসমূহ

122
122

সিমেন্ট শিল্পের দূষকসমূহ:

সিমেন্ট উৎপাদন একটি শক্তি-সাধক প্রক্রিয়া, যা পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। সিমেন্ট তৈরির জন্য কাঁচামাল যেমন চুন, সিলিকা, লোহা ও অ্যালুমিনার ব্যবহার করা হয়, এবং এই প্রক্রিয়া চলাকালীন বেশ কিছু দূষক পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। সিমেন্ট শিল্পের প্রধান দূষকসমূহ হলো:

  1. বায়ু দূষণ (Air Pollution):
    সিমেন্ট উৎপাদনে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া, ধূলিকণা এবং গ্যাস নির্গত হয়।
    • কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂): সিমেন্ট তৈরিতে যে পরিমাণ লৌহ ও চুন ব্যবহার করা হয়, তাতে প্রচুর পরিমাণ CO₂ উৎপন্ন হয়, যা গ্রীনহাউস গ্যাস হিসেবে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
    • নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOx): উচ্চ তাপমাত্রায় সিমেন্ট পোড়ানোর ফলে NOx গ্যাস নির্গত হয়, যা বায়ু দূষণ ও স্বাস্থ্যগত সমস্যার সৃষ্টি করে।
    • সালফার ডাইঅক্সাইড (SO₂): সালফার সমৃদ্ধ কাঁচামাল ব্যবহারের কারণে SO₂ গ্যাস নিঃসৃত হয়, যা বায়ু দূষণ এবং অ্যাসিড বৃষ্টির কারণ হতে পারে।
  2. জল দূষণ (Water Pollution):
    সিমেন্ট উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত পানির প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং নিঃসরণের সময় বিষাক্ত পদার্থ যেমন ভারী ধাতু ও রাসায়নিক উপাদান পানিতে মিশে যেতে পারে, যা জলাশয়ের দূষণ ঘটায়। এর ফলে জলজ প্রাণী ও পরিবেশের ওপর বিপজ্জনক প্রভাব পড়তে পারে।
  3. ভূমি দূষণ (Soil Pollution):
    সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কাঁচামাল এবং বর্জ্য পদার্থ যেমন ধুলো, ফ্লাই অ্যাশ, পুলভারাইজড কণিকা ভূমিতে জমা হয়ে পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলে। এই পদার্থগুলো মাটির উর্বরতা কমিয়ে দেয় এবং কৃষি কাজের জন্য অযোগ্য করে তোলে।
  4. শব্দ দূষণ (Noise Pollution):
    সিমেন্ট উৎপাদনকারী কল-কারখানায় উচ্চ শব্দের মাধ্যমে শব্দ দূষণ সৃষ্টি হয়। মেশিন, ব্লাস্টিং ও অন্যান্য যান্ত্রিক কাজের কারণে এই শব্দ দূষণ বৃদ্ধি পায়, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের এবং কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
  5. পদার্থ দূষণ (Particulate Pollution):
    সিমেন্ট শিল্পে উৎপাদিত ধূলিকণা ও কণা আকারের উপাদানগুলো বায়ুর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এসব কণিকা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবাহিত হতে পারে এবং শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

এই দূষণগুলো শুধুমাত্র পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে না, বরং মানবস্বাস্থ্যেও মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে দীর্ঘকালীন এক্সপোজারের ফলে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

ইউরিয়া শিল্পের দূষকসমূহ

111
111

ইউরিয়া শিল্পের দূষকসমূহ

ইউরিয়া শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক শিল্প, যা কৃষিতে সার উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে এই শিল্পের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের দূষক তৈরি হয়, যা পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ইউরিয়া সারের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্রধানত তিনটি প্রধান ধরনের দূষক সৃষ্টি হয়:

১. গ্যাসীয় দূষকসমূহ

ইউরিয়া উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন গ্যাসীয় দূষক নিঃসৃত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর গ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • অ্যামোনিয়া (NH₃):
    অ্যামোনিয়া গ্যাস ইউরিয়া উৎপাদন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলেও এটি পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই গ্যাস বাতাসে মিশে গিয়ে এসিড বৃষ্টি সৃষ্টি করতে পারে এবং জলাশয়ে অ্যামোনিয়ার মাত্রা বেড়ে গিয়ে পানির গুণগত মান কমিয়ে দেয়।
  • নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOx):
    নাইট্রোজেন অক্সাইড গ্যাস পরিবেশে বিপদজনক প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে এটি ঘনত্ব বৃদ্ধি করে আকাশের ওজোন স্তরের ক্ষতি করতে পারে এবং স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

২. তরল দূষকসমূহ

ইউরিয়া উৎপাদন প্রক্রিয়ায় তরল দূষকও নিঃসৃত হয়, যা পরিবেশে বিপদজনক হতে পারে:

  • অ্যামোনিয়াম সালফেট (NH₄)₂SO₄:
    এটি একটি তরল রাসায়নিক দূষক, যা ইউরিয়া উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এবং যদি যথাযথভাবে নিষ্কাশন না করা হয় তবে মাটি এবং জলাশয়ে ঢুকে তা পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে।
  • অ্যালকোহলিক সলভেন্টস:
    কিছু ইউরিয়া উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অ্যালকোহলিক সলভেন্টস ব্যবহৃত হয়, যা পরিবেশে ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে যদি সেগুলি যথাযথভাবে নিষ্কাশন না করা হয়।

৩. কঠিন দূষকসমূহ

ইউরিয়া উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কিছু কঠিন দূষকও উৎপন্ন হতে পারে:

  • ক্যালসিয়াম সালফেট (CaSO₄):
    এটি একটি কঠিন উপাদান যা ইউরিয়া উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সাইড প্রোডাক্ট হিসেবে তৈরি হয়। এই কঠিন বর্জ্যটি সঠিকভাবে নিষ্কাশন না হলে তা মাটির গুণগত মান নষ্ট করতে পারে।
  • শূন্যস্থান বর্জ্য:
    ইউরিয়া উৎপাদনের পর শূন্যস্থান বর্জ্য বা অবশিষ্ট উপাদান যেগুলি পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয়, তা পরিবেশে ফেলে দেওয়া হলে তা জমে গিয়ে মাটি ও জলাশয়ে দূষণ সৃষ্টি করতে পারে।

সারাংশ

ইউরিয়া শিল্পের প্রক্রিয়া পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের দূষণ সৃষ্টি করে, যার মধ্যে গ্যাসীয়, তরল এবং কঠিন দূষক অন্তর্ভুক্ত। এই দূষকসমূহ প্রাকৃতিক পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এবং মানুষের স্বাস্থ্য ও বাস্তুতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

চামড়া শিল্পের দূষকসমূহ

107
107

চামড়া শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত হলেও এটি পরিবেশের জন্য বেশ কিছু দূষণ সৃষ্টি করে। চামড়া প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রস্তুতির নানা ধাপে বিভিন্ন ধরনের দূষক সৃষ্টি হয়, যা পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলে।

চামড়া শিল্পের প্রধান দূষকসমূহ

১. রাসায়নিক দূষণ
চামড়া প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিক যেমন: ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক, সায়ানাইড, ফেনল, এবং অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এগুলো চামড়ার রঙ দেওয়া, ট্যানিং প্রক্রিয়া এবং চামড়া প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যবহৃত হয়। এই রাসায়নিকগুলি মাটি, পানি ও বায়ুতে মিশে দূষণ সৃষ্টি করে।

২. ক্রোমিয়াম দূষণ
ক্রোমিয়াম একটি প্রচলিত রাসায়নিক যা চামড়া ট্যানিংয়ে ব্যবহৃত হয়। এটি এক ধরনের ধাতু যা উচ্চ মাত্রায় পরিবেশে ছড়িয়ে পড়লে জলাশয় ও মাটির প্রাকৃতিক অবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ক্রোমিয়াম বিশেষত ক্রোমিয়াম VI অনেকটাই বিষাক্ত এবং এটি মানবদেহের জন্য বিপজ্জনক।

  1. অজৈব বর্জ্য
    চামড়া শিল্পে প্রক্রিয়াকরণের সময় অনেক ধরনের অজৈব বর্জ্য যেমন: চামড়ার কাটা অংশ, মৃতব্যাকটেরিয়া, লবণ এবং অন্যান্য উপাদান জমা হয়। এগুলো পরিবেশে অপচয় হিসেবে জমা হতে থাকে এবং দীর্ঘসময় ধরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
  2. জলদূষণ
    চামড়া প্রক্রিয়াকরণের ফলে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য পানি সৃষ্টি হয়, যাতে রাসায়নিক পদার্থ এবং প্রাকৃতিক তেল জমা থাকে। এই দূষিত পানি নদী, হ্রদ বা অন্যান্য জলাশয়ে প্রবাহিত হলে জলজ প্রাণী এবং মানবসন্তানদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
  3. বায়ু দূষণ
    চামড়া প্রস্তুতির সময় ব্যবহৃত রাসায়নিক গ্যাস, যেমন অ্যামোনিয়া, সোডিয়াম সালফাইড এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ বায়ুতে ছড়িয়ে পড়ে। এসব গ্যাস মানুষ ও প্রাণীজগতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ এটি শ্বাসযন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং দূষিত বায়ু পরিবেশের মান কমিয়ে দেয়।
  4. শব্দদূষণ
    চামড়া শিল্পের কারখানাগুলোর যন্ত্রপাতি ও উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে উৎপন্ন শব্দ দূষণ একটি বড় সমস্যা। এই শব্দ দূষণ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে শ্রমিকদের মধ্যে শ্রবণশক্তির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

সারাংশ
চামড়া শিল্পের প্রক্রিয়া পরিবেশে নানা ধরনের দূষণ সৃষ্টি করে, যার মধ্যে রাসায়নিক দূষণ, ক্রোমিয়াম দূষণ, অজৈব বর্জ্য, জলদূষণ, বায়ু দূষণ এবং শব্দদূষণ অন্তর্ভুক্ত। এসব দূষণ পরিবেশ এবং মানবস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে, এবং এর জন্য পরিবেশগত নীতি ও ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

টেক্সটাইল ও ডায়িং শিল্পের দূষকসমূহ

70
70

টেক্সটাইল ও ডায়িং শিল্পের দূষকসমূহ

টেক্সটাইল ও ডায়িং শিল্পে নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয়, যা পরিবেশে দূষণ সৃষ্টি করে। এই শিল্পের বিভিন্ন ধাপ, যেমন সুতা তৈরি, বুনন, রঞ্জন, এবং পণ্যের ফিনিশিংয়ের সময় বিভিন্ন প্রকার দূষণ ঘটতে পারে। এই দূষকগুলি ভূমিতে, বায়ুতে এবং পানিতে মিশে পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে।


পানি দূষণ

টেক্সটাইল ও ডায়িং শিল্পে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো পানি দূষণ। ডায়িং প্রক্রিয়ার সময় ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ, রঞ্জক এবং ধোয়া পানি পরিবেশে প্রবাহিত হয় এবং জলাশয়ে গিয়ে পানি দূষণ সৃষ্টি করে। এই দূষণ পানি জীবজন্তু এবং মানুষদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।

ডায়িং প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত কিছু প্রধান দূষক হল:

  1. রঞ্জক (Dyes): বিভিন্ন রঙের জন্য ব্যবহৃত রঞ্জকগুলি পানি এবং মাটিতে জমা হয়ে দীর্ঘস্থায়ী দূষণ সৃষ্টি করে।
  2. মিনারেল ওয়াশ: কাপড় পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য যেমন সোডিয়াম, সালফেট, ক্লোরাইড ইত্যাদি পানি দূষণ করে।

বায়ু দূষণ

টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহৃত কিছু রাসায়নিক পদার্থ যেমন সলভেন্টস (solvents) এবং অন্যান্য রিঅ্যাকটিভ কম্পাউন্ড বায়ু দূষণ সৃষ্টি করতে পারে। এরা বায়ুর মাধ্যমে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে, যা মানুষের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

টেক্সটাইল ও ডায়িং শিল্পের বায়ু দূষণের কারণসমূহ:

  1. ভিনাইল ক্লোরাইড (Vinyl Chloride): এই রাসায়নিক পদার্থ শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  2. ফর্মালডিহাইড (Formaldehyde): ফর্মালডিহাইড টেক্সটাইল পণ্য তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়, এবং এটি বায়ুতে মিশে মানুষের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

মাটি দূষণ

টেক্সটাইল ও ডায়িং শিল্পে ব্যবহৃত কিছু রাসায়নিক উপাদান মাটির গুণমান নষ্ট করতে পারে। এই পদার্থগুলো মাটির অণুপ্রবাহ, জলধারণ ক্ষমতা এবং মাটি উৎপাদন ক্ষমতায় প্রভাব ফেলে।

মাটি দূষণের প্রধান কারণ:

  1. রাসায়নিক বর্জ্য: তেল, কেমিক্যালস, পেন্ট, ডিটারজেন্ট ইত্যাদি বর্জ্য মাটির মধ্যে প্রবাহিত হয়ে এর গুণগত মান কমিয়ে দেয়।
  2. অসচেতন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: টেক্সটাইল শিল্পে বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রে অনিয়মিত ব্যবস্থাপনা মাটির দূষণের অন্যতম কারণ।

সারাংশ

টেক্সটাইল ও ডায়িং শিল্পে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থগুলি পরিবেশে বিপুল পরিমাণ দূষণ সৃষ্টি করতে পারে। পানি, বায়ু এবং মাটি দূষণ এই শিল্পের প্রধান সমস্যা। দূষণ নিয়ন্ত্রণে আরও সচেতনতা এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি কমানো সম্ভব।

Content added By

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ কৌশলের মূলনীতি

75
75

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ কৌশলের মূলনীতি


বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ কৌশলগুলি পরিবেশের স্বাস্থ্য রক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বায়ুদূষণ, যা মূলত শিল্পকারখানা, যানবাহন এবং কৃষি কার্যক্রম থেকে ঘটে, তা পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। এই দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন কৌশল এবং প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হয়, যা মূলত বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের নিয়মাবলী ও পদক্ষেপের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের প্রধান কৌশলগুলি

  1. উৎস নিয়ন্ত্রণ (Source Control):
    • বায়ুদূষণের মূল উৎসগুলো চিহ্নিত করে সেই উৎসগুলোতে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যেমন, শিল্প কারখানার ধোঁয়া নির্গমন কমানো, যানবাহনের দূষণ নিয়ন্ত্রণ, এবং কৃষির ব্যবহারে পরিস্কার প্রযুক্তির ব্যবহার।
    • উদাহরণস্বরূপ, শিল্প কারখানাগুলোর কালো ধোঁয়া নির্গমন কমাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং শিল্পের বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ।
  2. দূষিত বায়ুর পরিশোধন (Pollution Abatement):
    • বায়ুতে মিশ্রিত দূষিত উপাদানগুলো পরিশোধন করার জন্য পরিস্কারক যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে ফিল্টার, স্ক্রবার, সাইক্লোন, এবং স্যাফটকেট (scrubber) ব্যবহারের মাধ্যমে দূষিত গ্যাস ও কণা দূর করা হয়।
    • উদাহরণস্বরূপ, এসিড গ্যাস পরিশোধন করতে আলকালাইন স্ক্রাবিং ব্যবহার করা।
  3. দূষণ শোষণ (Pollution Absorption):
    • দূষিত বায়ুতে থাকা বিষাক্ত গ্যাসগুলি বিশেষ শোষক উপাদানের মাধ্যমে শোষিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, গাছপালা বা বিশেষ শোষক যন্ত্র দ্বারা কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করা।
    • উদাহরণস্বরূপ, বনায়ন এবং উদ্ভিদসংক্রান্ত প্রযুক্তির মাধ্যমে বায়ু পরিষ্কার করা।
  4. দূষণ পরিমাণ কমানো (Pollution Reduction):
    • নির্গমনের পরিমাণ কমানোর জন্য প্রযুক্তি এবং কৌশল ব্যবহার করা হয়, যেমন অধিক দক্ষ ইঞ্জিনের ব্যবহার, ক্লিন ফুয়েল প্রযুক্তি, এবং শক্তির দক্ষতা বৃদ্ধির কৌশল।
    • উদাহরণস্বরূপ, ইলেকট্রনিক যানবাহন ব্যবহার এবং পুনঃব্যবহারযোগ্য শক্তির উৎসে পরিবর্তন।
  5. প্রতিকূল অবস্থার নিয়ন্ত্রণ (Control of Adverse Conditions):
    • পরিবেশে বিদ্যমান প্রতিকূল অবস্থার যেমন বায়ুর গতি, আর্দ্রতা, এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি এবং পূর্বাভাস ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রভাব কমানো হয়।
  6. শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি (Education and Awareness):
    • বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণকে বায়ুদূষণের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করে তাদের আচরণ পরিবর্তন করতে সাহায্য করা হয়। এটি পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
    • উদাহরণস্বরূপ, সরকারী প্রচারণা, পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম ইত্যাদি।

সারাংশ


বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য যে কৌশলগুলি প্রয়োগ করা হয় তা পরিবেশের সুস্থতা এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলির মধ্যে উৎস নিয়ন্ত্রণ, দূষিত বায়ুর পরিশোধন, দূষণ শোষণ, দূষণ পরিমাণ কমানো, প্রতিকূল পরিবেশের নিয়ন্ত্রণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি অন্যতম। এসব কৌশলের সমন্বয়ে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব এবং পরিবেশগত স্থিতিশীলতা অর্জন করা যেতে পারে।

Content added By

ইটিপি'র কার্যপ্রণালির মূলনীতি

87
87

ইটিপি (E-Tendering Process) বা বৈদ্যুতিন টেন্ডারিং প্রক্রিয়া একটি ডিজিটাল পদ্ধতি যা সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান, জমা দেওয়ার এবং মূল্যায়নের কাজকে সহজ, স্বচ্ছ ও দ্রুত করতে সহায়তা করে। ইটিপি ব্যবহার করে, টেন্ডারিং প্রক্রিয়া কাগজপত্রের পরিবর্তে অনলাইনে পরিচালিত হয়, যা সময় ও খরচ কমায় এবং প্রক্রিয়াটিকে আরো কার্যকর করে।

ইটিপি'র কার্যপ্রণালির মূলনীতি

  1. স্বচ্ছতা:
    ইটিপি ব্যবহারের মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সব তথ্য উন্মুক্ত থাকে, যেমন দরপত্রের বিস্তারিত, যাচাইকৃত নথি, মূল্যায়ন প্রতিবেদন ইত্যাদি। এটি দুর্নীতি কমাতে সহায়তা করে এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার পরিবেশ সৃষ্টি করে।
  2. সহজ ব্যবস্থাপনা:
    ইটিপি একটি কেন্দ্রীকৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যেখানে টেন্ডার সমূহের সকল তথ্য সহজে সংগ্রহ ও পরিচালনা করা যায়। এতে দরপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট অ্যাক্সেস করা যায়।
  3. দ্রুততা ও কার্যকারিতা:
    ইটিপি পদ্ধতিতে দরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা, মূল্যায়ন ও চূড়ান্ত নির্বাচন প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। সকল ডকুমেন্ট অটোমেটেডভাবে যাচাই করা হয় এবং ফলাফল তৎক্ষণাৎ প্রকাশিত হয়।
  4. নিরাপত্তা:
    ইটিপি পদ্ধতিতে সমস্ত তথ্য এনক্রিপ্ট করা থাকে, ফলে তথ্য চুরি বা অনুমতি ছাড়াই কোনো তৃতীয় পক্ষের দ্বারা এক্সেস করা সম্ভব হয় না। এটি পদ্ধতিটি আরও নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করে তোলে।
  5. অটোমেটিক মূল্যায়ন:
    ইটিপি পদ্ধতিতে, দরপত্র জমা দেওয়ার পর অটোমেটিক্যালি প্রাপ্ত দরপত্রগুলির মূল্যায়ন করা হয়। সিস্টেমটি সরাসরি প্রতিযোগীদের মূল্য ও শর্তাবলী যাচাই করে এবং শ্রেষ্ঠ প্রস্তাবিত দরপত্রকে নির্বাচিত করে।
  6. গ্রাহক সেবা:
    ইটিপি পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই গ্রাহক সেবা প্রদান করা যায়। যেকোনো সময় গ্রাহকরা তাদের টেন্ডার স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন, যেকোনো সমস্যা বা প্রশ্নের জন্য সাপোর্ট টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
  7. প্রত্যুত্তর ও আপত্তি ব্যবস্থা:
    টেন্ডার প্রক্রিয়ায় আপত্তি বা প্রত্যুত্তরের ব্যবস্থা থাকে, যেখানে টেন্ডারকারী তার দরপত্রের বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা আপত্তি তুলতে পারে এবং সংশোধন করার সুযোগ পায়।

এভাবে, ইটিপি কার্যপ্রণালি সঠিকভাবে প্রয়োগ হলে টেন্ডারিং প্রক্রিয়া আরো স্বচ্ছ, দ্রুত এবং দক্ষ হয়, যা সরকারের বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি কার্যকরী ব্যবস্থা গড়ে তোলে।

Content added By

আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম,কপার,কাঁচ,পেপার ও প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্রণালি

110
110

আপনি "আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম, কপার, কাঁচ, পেপার ও প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্রণালি" বিষয়টি নিয়ে একটি টিউটোরিয়াল লিখতে চান, ভূমিকা ও উপসংহার বাদে। এখানে প্রতিটি উপাদান রিসাইক্লিং প্রণালির কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হল।


আয়রন রিসাইক্লিং প্রণালি

প্রক্রিয়া:
আয়রন রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া শুরু হয় ব্যবহৃত আয়রন ধাতু সংগ্রহের মাধ্যমে। এটি প্রাথমিকভাবে পচনশীল বা অব্যবহৃত ধাতু থেকে সংগ্রহ করা হয়। এরপর এই ধাতু গলিয়ে নতুন আকারে তৈরি করা হয়। গলানোর পর, তাতে কার্বন ও অন্যান্য উপাদান মিশে আয়রন স্টিলের উৎপাদন করা হয়। এই প্রক্রিয়া পরিবেশের উপর প্রভাব কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি নতুন আয়রন খনিজের চেয়ে অনেক কম শক্তি ব্যয় করে।


অ্যালুমিনিয়াম রিসাইক্লিং প্রণালি

প্রক্রিয়া:
অ্যালুমিনিয়াম রিসাইক্লিং খুবই শক্তি সাশ্রয়ী। প্রথমে ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম পদার্থগুলি যেমন অ্যালুমিনিয়াম ক্যান বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে তা পরিষ্কার করে গলানো হয়। গলানোর পর, এটি আবার নতুন ক্যান বা অন্যান্য অ্যালুমিনিয়াম পণ্য তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। অ্যালুমিনিয়াম রিসাইক্লিং প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র ৫% শক্তি লাগে যা নতুন অ্যালুমিনিয়াম তৈরির তুলনায় অনেক কম।


কপার রিসাইক্লিং প্রণালি

প্রক্রিয়া:
কপার রিসাইক্লিং একটি অত্যন্ত লাভজনক প্রক্রিয়া। প্রথমে ব্যবহৃত কপার কেবল বা পণ্যগুলো সংগ্রহ করে এগুলো পরিষ্কার করা হয়। তারপর গলিয়ে নতুন পণ্য উৎপাদন করা হয়। কপার খুব সহজেই পুনর্ব্যবহৃত হয় এবং এর গুণাগুণ সম্পূর্ণভাবে বজায় থাকে। এই প্রক্রিয়ায় শক্তি খরচ অনেক কম এবং কপার খনি থেকে কপার বের করার তুলনায় অনেক বেশি পরিবেশ বান্ধব।


কাঁচ রিসাইক্লিং প্রণালি

প্রক্রিয়া:
কাঁচের রিসাইক্লিং শুরু হয় পুরনো কাঁচের বোতল বা অন্য কাঁচের উপাদান সংগ্রহ করার মাধ্যমে। পরে এগুলো পরিষ্কার করে ছোট টুকরো করা হয় এবং আবার গলিয়ে নতুন কাঁচের পণ্য তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। কাঁচ রিসাইক্লিং প্রক্রিয়ায় কোনো গুণগত পরিবর্তন ঘটে না এবং এটি শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য। এই প্রক্রিয়া পরিবেশের জন্য উপকারী, কারণ এটি নতুন কাঁচ তৈরির জন্য দরকারি খনিজের চাহিদা কমায়।


পেপার রিসাইক্লিং প্রণালি

প্রক্রিয়া:
পেপার রিসাইক্লিং একটি সাধারণ প্রক্রিয়া, যেখানে পুরনো পেপার বা কাগজ সংগ্রহ করে তা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় পরিণত করা হয়। প্রথমে কাগজগুলো সংগ্রহ করা হয়, তারপর তা পানি ও রাসায়নিক দিয়ে মেশানো হয়, যা দিয়ে কাগজের দ্রবণ তৈরি হয়। পরে সেই দ্রবণ দিয়ে নতুন পেপার তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়া নতুন কাগজ তৈরির তুলনায় অনেক কম শক্তি খরচ করে।


প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্রণালি

প্রক্রিয়া:
প্লাস্টিক রিসাইক্লিং একটি জটিল প্রক্রিয়া, যা বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের উপর ভিত্তি করে আলাদা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। প্রথমে প্লাস্টিকের বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়, তারপর তা ধুয়ে পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরো করা হয়। পরে প্লাস্টিককে গলিয়ে নতুন পণ্য তৈরি করা হয়। প্লাস্টিকের রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া পরিবেশে কম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এবং এটি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য পণ্য উৎপাদনে সহায়তা করে।


সারাংশ

এই টিউটোরিয়ালে আমরা বিভিন্ন উপাদান যেমন আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম, কপার, কাঁচ, পেপার ও প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্রণালি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। প্রতিটি উপাদানের জন্য নির্দিষ্ট রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া রয়েছে যা পরিবেশের উপর প্রভাব কমাতে এবং শক্তি সাশ্রয়ে সহায়তা করে।

Content added By

সামাজিক ও পরিবেশ ক্ষেত্রে আয়রন,অ্যালুমিনিয়াম,কপার,কাঁচ,পেপার,প্লাস্টিক রিসাইক্লিং এর গুরুত্ব

89
89

আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম, কপার, কাঁচ, পেপার, এবং প্লাস্টিক রিসাইক্লিং এর গুরুত্ব

রিসাইক্লিং আমাদের পরিবেশ ও সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম, কপার, কাঁচ, পেপার, এবং প্লাস্টিকের রিসাইক্লিং বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, যা সমাজ ও পরিবেশ উভয়ের উন্নয়ন ঘটায়।


আয়রন রিসাইক্লিং

পরিবেশগত গুরুত্ব:
আয়রনের রিসাইক্লিং করলে প্রাকৃতিক খনিজ রিসোর্স সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়, যা নতুন করে আয়রন উত্তোলনের প্রয়োজন কমায় এবং খনন কাজে সৃষ্ট পরিবেশ দূষণ হ্রাস করে।

সামাজিক গুরুত্ব:
আয়রনের রিসাইক্লিং বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। এ প্রক্রিয়ায় অনেক মানুষ কর্মজীবন গড়ে তুলতে পারে।


অ্যালুমিনিয়াম রিসাইক্লিং

পরিবেশগত গুরুত্ব:
অ্যালুমিনিয়াম রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে শক্তি সাশ্রয় করা যায়। নতুন অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনের তুলনায় রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে ৯৫% কম শক্তি ব্যবহৃত হয়। ফলে পরিবেশে কার্বন নিঃসরণ কম হয়।

সামাজিক গুরুত্ব:
রিসাইক্লিং প্রক্রিয়ায় অ্যালুমিনিয়ামকে পুনরায় ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য তৈরি করতে পারি, যা সমাজের চাহিদা পূরণে সহায়ক।


কপার রিসাইক্লিং

পরিবেশগত গুরুত্ব:
কপার রিসাইক্লিং করলে ভূমির খনিজ সম্পদ সংরক্ষণ হয়। নতুন করে কপার উত্তোলনের প্রয়োজন কমে এবং পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস পায়।

সামাজিক গুরুত্ব:
রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে কপার পুনরায় ব্যবহারের ফলে কপারভিত্তিক পণ্যের সহজলভ্যতা বৃদ্ধি পায় এবং অর্থনৈতিকভাবে জনগণের সুবিধা হয়।


কাঁচ রিসাইক্লিং

পরিবেশগত গুরুত্ব:
কাঁচের রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে আমরা ভূমিতে জমাকৃত বর্জ্য হ্রাস করতে পারি এবং নতুন কাঁচ তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক উপাদানের চাহিদা কমাতে পারি।

সামাজিক গুরুত্ব:
কাঁচ রিসাইক্লিং প্রক্রিয়া সমাজে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এবং পুনর্ব্যবহৃত কাঁচ দিয়ে বিভিন্ন নতুন পণ্য তৈরি করা যায় যা মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে সহায়ক।


পেপার রিসাইক্লিং

পরিবেশগত গুরুত্ব:
পেপার রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে গাছ কাটার প্রয়োজনীয়তা কমে এবং বন সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখা যায়। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক।

সামাজিক গুরুত্ব:
পেপার রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে নতুন পেপারের খরচ কমে এবং শিক্ষামূলক ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহজলভ্য হয়।


প্লাস্টিক রিসাইক্লিং

পরিবেশগত গুরুত্ব:
প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করলে প্লাস্টিক বর্জ্য কমে এবং পরিবেশের দূষণ কমানো সম্ভব হয়। এটি মাটি ও পানির গুণগত মান রক্ষায় সহায়ক।

সামাজিক গুরুত্ব:
প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদনের খরচ কমানো সম্ভব এবং এটি বিভিন্ন নতুন পণ্য তৈরি করে সমাজের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে।


Content added By

ইট খোলার বায়ু দূষণের কারণ পর্যবেক্ষন

83
83

ইট খোলার প্রক্রিয়া অনেক ধরনের বায়ু দূষণের সৃষ্টি করে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ইট পোড়ানোর প্রক্রিয়া প্রধানত দুটি পর্যায়ে ঘটে—প্রথমে মাটি মিশ্রণ প্রস্তুত করা এবং তারপর উচ্চ তাপে ইট পোড়ানো। এই প্রক্রিয়া থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন দূষণ যেমন ধোঁয়া, কার্বন মনোক্সাইড (CO), সালফার ডাইঅক্সাইড (SO₂), নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOₓ), এবং মাটির ধূলিকণা বায়ুর মানকে দুর্বল করে তোলে।

ইট খোলার প্রক্রিয়ায় বায়ু দূষণের কারণ

  1. জ্বালানি পোড়ানো: ইট পোড়ানোর জন্য সাধারণত কাঠ, কয়লা বা অন্যান্য জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। এই জ্বালানির পোড়ানোর ফলে পরিবেশে ধোঁয়া এবং বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাসের নিঃসরণ ঘটে, যা বায়ু দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
  2. ধূলিকণা: ইট খোলার জায়গায় ধূলিকণার পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকে, যা বায়ুতে মিশে বিভিন্ন শ্বাসজনিত রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
  3. সালফার ও নাইট্রোজেন যৌগ: কয়লা বা অন্য কোনও কার্বনসমৃদ্ধ জ্বালানি পোড়ানোর সময় সালফার এবং নাইট্রোজেন যৌগের নিঃসরণ ঘটে, যা বায়ুর গুণগত মান খারাপ করে তোলে এবং এসিড বৃষ্টি সৃষ্টি করতে পারে।

বায়ু দূষণের প্রভাব

  • স্বাস্থ্যগত প্রভাব: বায়ু দূষণের ফলে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগ বৃদ্ধি পায়।
  • বাতাসের গুণগত মান: দূষিত বায়ু দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশের ক্ষতি করে এবং মানুষের জীবনের মান হ্রাস করে।
  • প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রভাব: বায়ু দূষণ প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে, যার ফলে উদ্ভিদ ও প্রাণীজগত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সারাংশ:
ইট খোলার প্রক্রিয়া থেকে বায়ু দূষণ ঘটে, যা বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস এবং ধূলিকণা নিঃসরণের কারণে পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। এই দূষণ মানুষের স্বাস্থ্য, প্রকৃতি এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যা যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কমানো প্রয়োজন।

Content added By

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সুবিধা অসুবিধা

101
101

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সুবিধা ও অসুবিধা


কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কী?

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এমন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র যেখানে কয়লা পোড়ানো হয় এবং সেই তাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। কয়লার তাপ শক্তি ব্যবহার করে পানি উত্তপ্ত করা হয়, যার ফলে বাষ্প তৈরি হয় এবং সেই বাষ্প টারবাইন চালায়, যা জেনারেটর দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।


কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সুবিধা

  1. নির্ভরযোগ্য শক্তির উৎস: কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দীর্ঘকাল ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এটি একটি নির্ভরযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে পরিচিত। এই প্রযুক্তি প্রায় সব দেশে প্রতিষ্ঠিত এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত।
  2. কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন: কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো তুলনামূলকভাবে কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। কয়লার মূল্য সাধারণত অন্য শক্তি উৎসের তুলনায় সস্তা থাকে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমায়।
  3. বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্থিতিশীলতা: কয়লার শক্তি উৎপাদন দ্রুত এবং নিয়মিত, যা বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো ধরনের ব্যাঘাত ঘটায় না।
  4. বৈশ্বিক উপলব্ধতা: কয়লা বিশ্বের অনেক জায়গায় পাওয়া যায়, তাই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত।

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অসুবিধা

  1. পরিবেশ দূষণ: কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান অসুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂), সালফার ডাই অক্সাইড (SO₂) এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOₓ) নির্গত হয়, যা বায়ু দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
  2. নবায়নযোগ্য নয়: কয়লা একটি সীমিত সম্পদ এবং দীর্ঘকাল ধরে কয়লার উপর নির্ভরতা পৃথিবীর শক্তি নিরাপত্তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কয়লার মজুদ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  3. বড় খরচ ও ইনস্টলেশন সময়: কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করতে বেশি সময় এবং বড় পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া, বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়া চালু করতে দীর্ঘ সময় লাগে।
  4. পরিবহন ও সংরক্ষণ: কয়লাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহন করতে বড় পরিমাণে যানবাহন এবং পরিকাঠামো প্রয়োজন, যা পরিবহন খরচ বাড়ায় এবং পরিবেশে আরো দূষণ সৃষ্টি করতে পারে।

সারাংশ

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলেও, এটি পরিবেশের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে এবং সীমিত সম্পদ হওয়ায় ভবিষ্যতে নির্ভরযোগ্য নয়। এর সুবিধাগুলোর মধ্যে খরচের কমতা ও স্থিতিশীল বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা থাকলেও, এর অসুবিধাগুলো অবশ্যই গুরুতর।

Content added By

ন্যানো পার্টিকেল ও ন্যানো প্রযুক্তির ধারণা

248
248

ন্যানো কী? বা এর আকার আকৃতি কতটুকু এই ব্যাপারে একটু ধারণা নেওয়া যাক। অঙ্কের হিসাবে এক মিটারের এক বিলিয়ন ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এক ন্যানো মিটার। আরো সহজ করে বলতে গেলে, একটি চুলের চল্লিশ হাজার ভাগের এক ভাগ হচ্ছে এক ন্যানো। একটি ভাইরাসের আকৃতি হয় সাধারণত ১০০ ন্যানোমিটার। ফলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম এককটিই ন্যানো। ১০টি হাইড্রোজেন পরমাণু পর পর রাখলে, সেটা এক ন্যানোমিটার দৈর্ঘ্যের সমান হয়, যা খালি চোখে দেখা যায় না। অর্থাৎ ন্যানো স্কেলে তৈরি যে কোনো জিনিসই খুব ছোট, খুবই সুক্ষ। আধুনিক ন্যানো টেকনোলজি ১৯৮১ সালে বাস্তবিক অর্থে প্রথম ব্যবহার শুরু হয় যখন পরমাণু নিয়ে নিপুণভাবে মাইক্রোস্কোপের সহায়তায় গবেষণা শুরু হয়। তবে রিচার্ড ফেনমেনকেই এর জনক বলা হয়।

 

ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে জিনিসপত্রের শুধুমাত্র আকার আকৃতিই ছোট হচ্ছে না, এর গুণাগুণ বা ধর্ম থাকছে অটুট। এই টেকনোলজি ব্যবহার করে বস্তুটিকে করা হচ্ছে শক্তিশালী, হালকা, আরো সক্রিয় ও টেকসই, বাড়ানো হচ্ছে এর স্থায়িত্ব। আজকাল অনেক বাণিজ্যিক পণ্যই এই ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে দৈনন্দিন বাজারে প্রচলিত আছে এবং দিনদিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ক্ষেত্রবিশেষে এর কিছু কিছু ব্যবহার জেনে নেয়া যাক।

ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার

চিকিৎসা শাস্ত্রে ন্যানোর ব্যবহার : ন্যানো প্রযুক্তি ইতোমধ্যে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। মেডিক্যাল টুলস এর পাশাপাশি চিকিৎসার ধরনেও। এখন রোগ প্রতিরোধে ও রোগ নিরূপণে ডক্টরগণ আরো নিবিড় বিস্তারিত পরীক্ষা করার ব্যবস্থা পাচ্ছেন। ন্যানো টেকনোলজির প্রয়োগে উৎপাদিত ওষুধকে বলে ‘স্মার্ট ড্রাগ’। এগুলোর ব্যবহারে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়। ন্যনো ফাইবার সার্জিক্যাল অপারেশনে চিকিৎসকরা ব্যবহার করছেন। যা শুধুমাত্র অপারেশনকেই সহজ করছে তা কিন্তু নয়, রোগীদের অপারেশন উত্তর জটিলতা থেকেও রেহাই দিচ্ছে। চিকিৎসার প্রয়োজনে আমাদের অঙ্গ-প্রতঙ্গ কেটে ফেলতে হয় আবার কারো কারো জন্মগতভাবেই কোনো বিকলঙ্গ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেই। তাদের জন্য কৃত্রিম অঙ্গ-প্রতঙ্গ বানানো হয়। তবে সেটি হওয়া দরকার নিখুঁত। আর নিখুঁতভাবে তৈরির জন্য দরকার হয় ন্যানো টেকনোলজির।

 

কৃষিতে ব্যবহার : কৃষিতে ন্যানো টেকনোলজির ব্যবহার অপচয় হতে রক্ষা করে। বিশেষ করে বস্ত্র বা গার্মেন্ট শিল্পে তুলা কাপড়ের কাজ শেষে কাপড়ের উচ্ছিস্ট ক্ষুদ্র অংশ (সেলুলোজ) বা তুলা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বানানো হয় কটন বল বা কটন বেটিং। এই কাপড় হয় অনেক টেকসই ও উন্নত। বর্তমানে প্রায় সকল প্রকার উন্নত খাদ্য প্যাকেজিং এ যেখানে বাতাসও প্রবেশ করতে পারে না এ সকল প্যাকেজিংএ ন্যানো ম্যাটেরিয়ালস ব্যবহার করা হয়। আধুনিক জামানায় এটাকে স্মার্ট প্যাকেজিং বলে। এসকল ক্ষেত্রে খাদ্যের মান ভালো থাকে এবং বাইরের আলট্রা ভায়োলেট রেডিয়েশন থেকে খাদ্যকে রক্ষা করে। ন্যানো সেন্সর খাদ্যের রাসায়নিক ও গ্যাসের উপস্থিতি, খাদ্যের পচন ইত্যাদি সনাক্তকরণে ব্যবহার হয়।

পানি বিশুদ্ধ : পানি বিশুদ্ধ করণে নতুন আবিষ্কার ন্যানো ফিল্টার, যা দূষিত পানি দ্রুত ফিল্টার করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে এই ন্যানো ফিল্টার তেলসহ পারদের মতো ভারি ধাতু ছেঁকে ফেলতে পারে। এ ন্যানো ফিল্টার তৈরিতে গ্যালিয়ামভিত্তিক তরল ধাতু অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে অ্যালুমিনিয়াম ডাই-অক্সাইডে দূষিত পদার্থগুলো ধরা পড়ে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে মলিবডেনাম ডাইসালফাইড সমেত পাতলা পর্দার ফিল্টার আবিষ্কার করেছে সাগরের লোনা পানিকে লোনা মুক্ত করার জন্য।

যানবাহন শিল্পে ন্যানো প্রযুক্তি : ন্যনো প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে যানবাহন নির্মাণের শিল্প কারখানায়, ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতমানের ব্যাটারি তৈরি করা হচ্ছে যেগুলো খুব দ্রুত চার্জ হয়, খুবই কার্যকরি, ওজনে হালকা এবং দীর্ঘ সময় চার্জ ধরে রাখতে পারে। থার্মোইলেক্টিক ম্যাটারিয়াল ব্যবহার হচ্ছে গাড়ির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, গাড়ির জ্বালানিতে এডিটিভ হিসেবে ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।

যানবাহন এর ওজন দিন দিন হাল্কা হচ্ছে পলিমার ন্যানো কম্পোজিট এর ব্যবহারে কাঠামোগত পরিবর্তনের সাথে সাথে। ওজন এর সাথে আছে জ্বালানির সম্পর্ক। বেশি ওজনে জ্বালানি খরচ বেশি। আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসার এক গবেষণায় দেখা গেছে বাণিজ্যিক বিমানের ২০% ওজন কমায় ১৫% জ্বালানির সাশ্রয় হয়। ন্যানো মেটেরিয়ালস এর ব্যবহার শুধুমাত্র ওজন এবং জ্বালানিই কমাচ্ছে তা কিন্তু নয় একই সাথে মহাকাশ যানের নির্মাণ খরচ কমাতে পারছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।

ইলেকট্রনিক্স শিল্পে : আমরা ট্রানজিস্টর সম্পর্কে সকলেই অবগত, যা সাধারণত ইলেকট্রনিক সার্কিটে সুইচ হিসাবে বেশি কাজ করে। আমাদের চোখের সামনেই এটি দিন দিন ছোট হছে ন্যানো টেকনোলজি এর বদৌলতে। গত শতাব্দীতেই এটার আকৃতি ছিলো ১৩০ থেকে ২৫০ ন্যানো মিটার। ২০১৪ তে ইনটেল বানালো ১৪ ন্যনোমিটার, ২০১৫ তে আইবিএম বানালো ৭ ন্যনোমিটার এবং তারপর লরেন্স বারক্লে ন্যাশনাল ল্যাব বানালো ১ ন্যানোমিটার। কাজেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার বলেই একটি কম্পিউটার এর মেমোরি ক্ষুদ্র চিপের উপর স্টোর করা সম্ভব হচ্ছে। কার্বন ন্যানো টিউব ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক তারের রেজিস্ট্যান্স কমিয়ে ইলেকট্রিক গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে যার ফলে পাওয়ার লসও এক্ষেত্রে কম হচ্ছে। বৈদ্যুতিক তার হয়ে যাচ্ছে আগের চেয়ে আরো সুপরিবাহী।

জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে : ন্যানো টেকনোলজি পরিবেশ ভারসাম্য বজায় রাখতেও বেশ কার্যকরি। পরিবেশে দূষিত বাতাস চিহ্নিত করতে এবং তা পরিষ্কার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিল্প কারখানার দূষিত পানি রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে স্বল্প খরচেই পরিষ্কারকরণের কাজে ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। বাতাসে এবং মাটিতে বিদ্যমান রাসায়নিক বা জৈবিক পদার্থ চিহ্নিত করার জন্য ন্যানো টেকনোলজি সমেত সেন্সর ও সল্যুশন খুবই কার্যকরি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি নাসার বিজ্ঞানীগণ এমন এক সেন্সর ডেভেলপ করেছেন যা ফায়ার ফাইটারগণ আগুনের চারপাশের বাতাসের গুণাগুণ ও তীব্রতা তার সেলফোন দিয়ে মনিটর করতে পারবে।

নির্মাণশিল্পে ন্যানো টেকনোলজি : বিল্ডিং, ব্রিজ, টানেল এর কাঠামোগত বিশুদ্ধতা ও কর্মক্ষমতা মনিটরে তথা ধারবাহিক রক্ষণাবেক্ষণে ন্যানোস্কেল সেন্সর ও ডিভাইস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া বর্তমানে চলমান অত্যাধুনিক যানবাহনসমূহে আধুনিক প্রযুক্তির নামে যা ব্যবহার করা হচ্ছে যেমন- লেন পজিশন সেন্সর দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য, ট্রাফিক জ্যাম এড়ানোর লক্ষ্যে। সর্বোপরি  চালকদের গাড়ি চালনা আরো সহজ করার জন্য বিভিন্ন ডিভাইস ও সেন্সর এর ব্যবহার ন্যানো প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা থেকেই এসেছে।

 

ভবিষ্যৎ কেমন হতে পারে?

আমাদের জীবন ব্যবস্থাকে আরো সহজ করার জন্য সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। বিশ্ব ঝুঁকে পড়ছে ন্যানো প্রযুক্তির দিকে। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন ন্যানো প্রযুক্তির উপর। ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হচ্ছে এখন বিজ্ঞানের গবেষণার বিষয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় চলে আসছে এখন মাইক্রো থেকে ন্যানোর দিকে। গোটাবিশ্বকে নিয়ে আসা হচ্ছে আমাদের হাতের মুঠোয়, তেমনি প্রযুক্তি আর পণ্যকেও করে তোলা হচ্ছে সূ²তর ও সহজতর। আকারেও ছোট হচ্ছে, পরিচালনাও সহজ।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে ন্যানো প্রযুক্তি খুব বেশি ব্যবহার করা যাবে। ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য কাজে লাগানো যেতে পারে। এছাড়া ন্যানো প্রযুক্তির প্রয়োগ করতে পারলে ওপেন হার্ট সার্জারিতে আসতে পারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। হৃৎপিন্ডে ব্লক হলে সার্জারি করা হতো কিংবা রিং পরানোর ব্যবস্থা করা হতো, কিন্তু এখন আমরা যদি ধমনীর ভেতর দিয়ে ন্যানো পার্টিকেল প্রবেশ করাতে পারি এবং বায়োসেন্সর দিয়ে বাইরে থেকে সেটা নিয়ন্ত্রণ করি তাহলেই আমরা এই বøকগুলো খুলতে পারি অনায়াসে। দেহে কোনো প্রকার কাটা-ছেঁড়া না করেই সারানো যাবে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক ব্যাধি। ভেক্সিনেশন বা টিকার মান উন্নয়নে ন্যানো মেডিসিন তথা ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। সূচের ব্যবহার না করে কিভাবে টিকা দেওয়া যায় তা নিয়ে হচ্ছে গবেষণা। চিকিৎসা বিজ্ঞান এক্ষেত্রে এগিয়েছে অনেক দূর।

ভবিষ্যতে চিকিৎসা শাস্ত্রের সরাসরি ক্যান্সার সেলে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে সুস্থ টিস্যুগুলোকে সমুহ ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য গবেষণা চলছে। একই সাথে ক্যমোথেরাপির ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া লাঘবের চেষ্টা চলছে। মানুষের অংগ প্রতিস্থাপন ও টিস্যু বৃদ্ধির উপায় নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। ন্যানো প্রকৌশল এর সহায়তা নিয়ে জীন সিকোয়ন্সিং প্রযুক্তির বিকাশে ব্যাপক অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। ন্যানো প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে শুরু করে ইলেক্ট্রনিক পণ্যের ব্যবহার করবে সহজতর।

এত বেশি সুক্ষ ক্যামেরা দিয়ে ছবি উঠবে যা হয়তো চোখেই পড়বে না কারো। ধাতব পদার্থ বিজ্ঞানের যেসব উপাদান ন্যানো প্রযুক্তিতে কাজে লাগানো হচ্ছে সেসব বিষয় নিয়ে হচ্ছে গবেষণা। আর ন্যানো প্রযুক্তির প্রয়োগে খাদ্যশস্যকে করা যাবে আরো কয়েকগুণ পুষ্টিসমৃদ্ধ। হয়তো ন্যানোপুষ্টি সমৃদ্ধ এক কাপ খাবার খেলেই দিব্যি কেটে যাবে সারাটা দিন। বিজ্ঞানীরা এসব সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতেই চালিয়ে যাচ্ছেন বিস্তর গবেষণা।

 

এ ছাড়া জ্বালানির চাহিদা মেটাতে ন্যানো প্রযুক্তি প্রয়োগের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন রোধেই বিকল্প জ্বালানির সন্ধানে নেমেছে তারা। ফলে এখন ন্যানো জ্বালানিকেই ভাবা হচ্ছে অন্যতম বিকল্প জ্বালানি।

ন্যানো টেকনোলজিতে ব্যবহৃত ন্যানো ডিভাইসগুলো খুব ছোট হবে, কিন্তু ক্যাপাসিটি অনেক বেশি থাকবে। আর কর্মক্ষমতাও হবে তুলনামূলক অনেক বেশি। গতিও থাকবে অনেক, বিশেষ করে যদি ইলেক্ট্রনিক পণ্যের কথা বিবেচনা করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মোবাইল ফোন, আই প্যাড কিংবা কম্পিউটারের কথা। চার যুগ আগেও একটি কম্পিউটার জায়গা দখল করতো পুরো একটি রুম, আর এখন এক হাতেই চলে এসেছে এর আকৃতি। আমরা যদি ন্যানো সোলার সেল ব্যবহার করতে পারি তাহলে এগুলো আরো অনেক ছোট হয়ে যাবে। আস্তো একটা কম্পিউটার ভাঁজ করে পকেটে পুরে চলা যাবে। কথা বলছিলাম এর আকৃতি নিয়ে। ম্যাগনেটিক র‌্যাম ব্যবহার এর মাধ্যমে আমরা এখন মুহূর্তের মধ্যেই কম্পিউটার বুট করতে পারি। যা করতে ইতোপূর্বে অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যেতো।

সোলার প্যানেলে স্বল্প খরচে এবং আরো কার্যকরি উপায়ে ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে সূর্যের আলোকে বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিণত করা যেতে পারে। এটার তৈরি খরচ কম হবে এবং স্থাপনের খরচও কম হবে। ভবিষ্যতের সোনার প্যানেল বর্তমান প্রচলিত সোলার প্যনেলের ন্যায় শক্ত না হয়ে হবে ফ্লেক্সিবল এবং অনেক হাল্কা। সব মিলিয়ে খরচ হবে অনেক কম।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

দৈর্ঘ্য ও আয়তনের অনুপাত 1.32
নমনীয়তা অত্যন্ত বেশি
উচ্চ তাপসহ
নিজে চেষ্টা করুন

পরমাণু,অণু ও ন্যানো পার্টিকেলের তুলনা

82
82
Content added By

পদার্থের স্বাভাবিক অবস্থা ও ন্যানো কণার ভৌত ধর্মের তুলনা

120
120

পদার্থের স্বাভাবিক অবস্থা

পদার্থের স্বাভাবিক অবস্থা বলতে সাধারণত সেই অবস্থাকে বোঝায় যেখানে পদার্থের কণাগুলি সাধারণ মাপ ও আকারে থাকে। এই অবস্থায় পদার্থের ভৌত ধর্ম যেমন কঠিনতা, তরলতা, গ্যাসীয় অবস্থা ইত্যাদি নির্দিষ্ট থাকে। এই অবস্থায় পদার্থের ভর, ঘনত্ব, উষ্ণতা ইত্যাদি ধর্মগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সহজেই নির্ধারণ করা যায়।

পদার্থের স্বাভাবিক অবস্থা সাধারণত তিনটি ধাপে বিভক্ত — কঠিন, তরল ও গ্যাস। কঠিন পদার্থের ক্ষেত্রে এর কণাগুলি ঘনভাবে সজ্জিত থাকে এবং একে ভাঙা বা সংকুচিত করা কঠিন। তরল পদার্থের কণাগুলি একটু মুক্তভাবে সজ্জিত থাকে, যা তরলকে প্রবাহিত হতে সহায়ক করে। গ্যাসীয় পদার্থের কণাগুলি খুব দূরে সজ্জিত থাকে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে একে সংকুচিত করা যায়।


ন্যানো কণার ভৌত ধর্ম

ন্যানো কণা হলো এমন কণা যার ব্যাস ১ থেকে ১০০ ন্যানোমিটারের মধ্যে থাকে। এই ক্ষুদ্র আকারের জন্য ন্যানো কণার ভৌত ধর্ম সাধারণ পদার্থের তুলনায় ভিন্ন ধরনের। ন্যানো কণার ভৌত ধর্মগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এদের উচ্চতর পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল, উজ্জ্বল রঙ, এবং বেশি সংবেদনশীলতা।

ন্যানো কণার আকার ছোট হওয়ায় এদের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল বাড়ে। এর ফলে পদার্থের ভৌত এবং রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি কার্যকর হয়। উদাহরণস্বরূপ, ন্যানো কণার মাধ্যমে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া খুব দ্রুত ঘটে এবং বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে এই ধর্মটি খুব উপযোগী। ন্যানো কণার ধর্মগুলি তাপ বিদ্যুৎ পরিবাহী, অপ্রকাশিত বর্ণালী, এবং রং পরিবর্তনের ক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত।

Content added By

শিল্পে ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহারের সম্ভাবনা

110
110

ন্যানো পার্টিকেল: শিল্পে ব্যবহারের সম্ভাবনা

ন্যানো প্রযুক্তি বা ন্যানো পার্টিকেল একটি বিশেষ ধরনের উপাদান যা তার আকারের কারণে বৈশিষ্ট্যগতভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। এটি সাধারণত ১ থেকে ১০০ ন্যানোমিটার (nm) পরিমাপের মধ্যে থাকে, যা একে একাধিক শিল্পে ব্যবহার উপযোগী করে তোলে।

১. উন্নত উপকরণ নির্মাণ

ন্যানো পার্টিকেলগুলি শক্তি, স্থায়িত্ব এবং কর্মক্ষমতা উন্নত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকরণে ব্যবহার করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, ন্যানো ফিল্ম বা লেপ তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হতে পারে যা শক্তিশালী এবং অধিক টেকসই হয়। এই ধরনের উপকরণ গুলি যেকোনো শিল্পে কার্যকরী হতে পারে যেমন, নির্মাণ, বৈদ্যুতিন এবং গাড়ি নির্মাণ শিল্পে।

২. স্বাস্থ্য খাতে প্রযোজ্যতা

ন্যানো প্রযুক্তি স্বাস্থ্যখাতে দারুণ পরিবর্তন আনতে সক্ষম। এটি ঔষধ এবং ড্রাগ ডেলিভারি সিস্টেমে উন্নতি এনে দিতে পারে, যেখানে ন্যানো পার্টিকেলগুলি নির্দিষ্ট কোষ বা অঙ্গের জন্য সঠিকভাবে চিকিৎসা প্রদান করতে পারে। আরও, তা রোগ নির্ণয়ের প্রক্রিয়ায় উন্নততর ছবি তৈরি করার জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে।

৩. উৎপাদন শিল্পে অটোমেশন

ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহারে উৎপাদন শিল্পে দক্ষতা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষভাবে, এটি অটোমেশন প্রক্রিয়ায় উদ্ভাবন আনতে সক্ষম হতে পারে, যেমন স্বয়ংক্রিয় রোবট এবং উন্নত সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহারে। এতে উৎপাদন ব্যবস্থার গতি বাড়ানো সম্ভব এবং খরচ কমানো যেতে পারে।

৪. বৈদ্যুতিন ও টেলিকমিউনিকেশন

ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হচ্ছে বৈদ্যুতিন এবং টেলিকমিউনিকেশন। এটি অতিরিক্ত ক্ষুদ্র আকারের বৈদ্যুতিন উপাদান তৈরিতে সাহায্য করতে পারে, যার ফলে ছোট ডিভাইস ও শক্তিশালী সিগন্যাল তৈরি করা সম্ভব। এটির মাধ্যমে উন্নত কনডেন্সার, ট্রানজিস্টর এবং অন্য বৈদ্যুতিন উপাদান তৈরির ক্ষেত্রেও বিপ্লব আনতে পারে।

৫. কৃষি খাতে ন্যানো প্রযুক্তি

কৃষি খাতেও ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি কৃষি ঔষধ, সার এবং পেস্টিসাইডে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা শুধু পরিবেশের জন্য নিরাপদ নয়, বরং পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক। কৃষির উপকারিতা বৃদ্ধিতে ন্যানো প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।


সারাংশ

ন্যানো পার্টিকেল শিল্পে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। এর সাহায্যে উপকরণ নির্মাণ, স্বাস্থ্য, উৎপাদন, বৈদ্যুতিন এবং কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি আনা সম্ভব। ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক উপকারিতা অর্জন করা সম্ভব, এবং তা বিভিন্ন শিল্পখাতে সাফল্য আনতে সক্ষম হবে।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

Promotion